ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পিকআপ থেকে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় শীতল মিয়া (৬০) নামে একজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ আছে, হামলায় গ্রামের পাঁচটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ বেশ কয়েকটি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সলিমগঞ্জ বাজারে মুক্তারামপুর গ্রামের কবির হোসেনের স’মিলের কাঠ পিকআপ থেকে আনলোড শেষে ফিরে যাওয়ার সময় ধরাভাঙ্গা গ্রামের সলিমগঞ্জ বাজারের লাইনম্যান রহিম মিয়া পিকআপ থেকে দুইশ টাকা জিপি (চাঁদা) দাবি করে। এ নিয়ে কবির মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে লাইনম্যান রহিম মিয়ার কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার জেরে শনিবার সকালে মুক্তারামপুর গ্রামের লোকজন ধরাভাঙ্গা গ্রামের চেয়ারম্যানের ছেলে মানিক ও খোকন মিয়াকে মারধর করে। মারধরের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ধরাভাঙ্গা গ্রামের লোকজন দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুক্তারামপুর গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় মুক্তারামপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার শীতল মিয়াসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
এ ছাড়া হামলাকারীরা ওই গ্রামের পাঁচটি ঘরে আগুন দেওয়াসহ নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের শিকার হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় শীতল মিয়াকে ঢাকায় নেওয়ার পথে নরসিংদী পৌঁছালে মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন—মুক্তিযোদ্ধা মালেক মিয়া, দুলাল মিয়া, মেহেদী হাসান, আমির মিয়া, সুমন মিয়া, রয়েল মিয়া, মোহাম্মদ আলীসহ প্রায় ১৫ জন।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাশের জেলা নরসিংদী হাসপাতালে রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।