ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কে ডিএনসিসির মানবিক সহায়তা
শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কে মানবিক সহায়তা পাঠাল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উদ্যোগে এই সহায়তা পাঠান হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশান নগর ভবনের হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মানবিক সহায়তার পণ্যসামগ্রীগুলো তুলে দেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মেয়রের উদ্যোগে সাড়া দিয়ে ডিএনসিসির মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরা কল্যাণ সমিতি এবং হাঁটি হাঁটি খাই খাই নামে দুটি সামাজিক সংগঠনও সহায়তা করে।
তুরস্কের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে বড়দের জন্য তিন হাজার ৩০০টি জ্যাকেট, শিশুদের জন্য তিন হাজার ১০০টি জ্যাকেট, সাত হাজারটি সোয়েটার, এক হাজার রুম হিটার, সাত হাজার কম্বল ও ছয় কার্টন বাচ্চাদের পোশাক দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। তুরস্কের পক্ষে এসব পণ্য গ্রহণ করেন টার্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সির (টিকা) প্রতিনিধি। অনুষ্ঠান শেষে ১৩টি ট্রাকে এসব পণ্য বুঝিয়ে দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ‘তুরস্ক আমাদের বন্ধু, তাদের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব থেকে আমরা সেখানকার মানুষকে জ্যাকেট, কম্বল, রুম হিটার, সোয়েটারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রী পাঠাচ্ছি। তীব্র ঠান্ডায় সেখানে শীতের পোশাক খুব প্রয়োজন। এই কঠিন সময়ে তুরস্কের মানুষের জন্য আমরা ডিএনসিসি থেকে মানবিক সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারছি।’
আতিকুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ও তাঁর নামে একটি পার্ক করা হয়েছে। আবার তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকার বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। এ ছাড়া বনানীর সড়কটির সংলগ্ন একটি পার্কও কামাল আতাতুর্কের নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তুরস্কের এই কঠিন সময়ে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া আমাদের মানবিক দায়িত্ব।’
এ সময় টার্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সির (টিকা) সহকারী পরিচালক আহম্মেদ ফারুক মোস্তাকঅলু বিপদের সময়ে মানবিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলমসহ বিভাগীয় প্রধান ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।