ভোলার সাগর মোহনায় ভেসে আসা বার্জটি ভারতের
ভোলার চরফ্যাশনের সাগর মোহনায় ভেসে আসা বার্জটি ভারতের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন। জানা গেছে, কাজের জন্য বার্জটিকে ভাড়ায় এনেছে চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠান।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে ‘এ এম অ্যাকুয়ার্ড’ নামের অপর একটি জাহাজ থেকে এটি বিচ্ছিন্ন হয়ে সাগরে ভেসে আসে। উদ্ধার হওয়া বার্জটি বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের চরমানিকা ইউনিট এর কোস্টগার্ড সদস্যরা নিরাপত্তায় রয়েছে। এছাড়া ভোলা থেকে কোস্টগার্ডের আরও একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কে এম শাফিউল কিঞ্জল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে বার্জটি নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি।
কোস্টগার্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, বার্জটি ভারত থেকে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্টের চলমান কাজের উদ্দেশে বাংলাদেশে আসার পথে বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে কোস্টগার্ড সদস্যরা বার্জটির মালিক ও কাগজপত্রের খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বার্জটিতে একটি স্কেভেটর (ভেকু), একটি পাথর ভাঙার মেশিন ও ১৩ হাজার মেট্রিকটন পাথর ছিল। বার্জটিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের চরমানিকা কোস্টগার্ড সদস্যরা নিরাপত্তায় রেখেছে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল নোমান বলেন, জাহাজ সংশ্লিষ্টদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা বার্জটি নেওয়ার জন্য একটি টাগবোড নিয়ে রওনা করেছেন। এখনও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছাননি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি প্রমাণ স্বরূপ কাগজপত্র পাঠিয়েছে। তা সব যাছাই বাছাই করা হচ্ছে। নৌবাহিনী কাজ করছে বিষয়টি নিয়ে। প্রকৃত মালিকের কাছে এটি হস্তান্তর করা হবে। শুধু তাই নয়, নৌবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে আসার কথা রয়েছে। তবে জাহাজের নিরাপত্তায় সেখানে কোস্টগার্ড মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চরনিজাম এলাকায় বঙ্গোপসাগরে একটি জাহাজ সাগরে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি স্থানীয় ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান ও চরফ্যাশন উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলে তারা বার্জের বিষয়ে তৎপর হয়।
স্থানীয়রা জানান, নাবিক ও জনবলবিহীন জাহাজটির ওপরের অংশ খোলা। বার্জটি ছিল পাথর বোঝাই। এতে একটি ভেকু মেশিন, পাথর ভাঙার মেশিন ও আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল ছিল বার্জটিতে।