ভৈরবে বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমতুল্লাহর দাফন সম্পন্ন
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রহমতুল্লাহ ভূঁইয়ার (৭০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাপায় গতকাল বৃহস্পতিবার আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। আজ শুক্রবার বাদ জুমা স্থানীয় মিয়াবাড়ি মাঠে জানাজার নামাজ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
জানাজার আগে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকসদল বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমতুল্লাহ ভূঁইয়াকে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে তাঁর কফিনে জেলা প্রশাসনসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রহমতুল্লাহ ভূঁইয়া তারাবি নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাপায় গুরুতর আহত হন। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের কালিকাপ্রসাদ বাসস্ট্যান্ডের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর আহত রহমতুল্লাহকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মো. রহমতুল্লাহ ভূঁইয়া ভারতে থেকে ট্রেনিং শেষে ১১ নং সেক্টরের ‘মেঘনা রিভার অপারেশন ফোর্স’-এর অধীনে যুদ্ধে অংশ নেন এবং ভৈরবের বিভিন্ন অঞ্চলে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন।
যুদ্ধকালীন ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথের কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের গাজীরটেক রেলওয়েব্রিজ উড়িয়ে দেওয়ার অপারেশনে অংশ নিয়ে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। সেই ঘটনায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়।
দুই মেয়ে ও এক ছেলের বাবা রহমতুল্লাহ ভূঁইয়ার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তাঁর লেখা স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।