ভৈরব যুবলীগ সম্পাদকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন সৈকতের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাঁকে ভৈরব পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত (১৮ মে) বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ভৈরব উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অলিউল ইসলাম অলি, যুগ্ম আহ্বায়ক অরুণ আল আজাদ, ইকবাল হোসেন, আরমান উল্লাহ ও পৌর যুবলীগ সভাপতি ইমরান হোসেন ইমন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
আজ রোববার (২১ মে) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অরুণ আল আজাদ আল-আমিন সৈকতের বহিষ্কাদেশ প্রত্যাহারে বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেন।
অরুণ আল আজাদ জানান, গত ২৯ জানুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে মো. আল আমিন সৈকতকে ভৈরব পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে তিনি তাঁর অপরাধ বুঝতে পেরে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ভবিষ্যতে দল ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন, সংগঠনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড না করার অঙ্গীকার করায় এবং দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সম্মতিতে তাঁর সাময়িক অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার করা হয় এবং তাঁকে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্বহাল করা হয়।
এ বিষয়ে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন সৈকত বলেন, ‘আমি বিগত দিনের কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে ভুলগুলো শোধরাতে চাই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি মহোদয়ের হাতকে শক্তিশালী করে এগিয়ে যেতে চাই।’
গত ২৯ জানুয়ারি উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সম্মেলন চলাকালীন পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সৈকতের সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহতসহ সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। ওই সংঘর্ষের জেরে রাতে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ভৈরব বাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায় আল আমিন সৈকত সমর্থকরা। দলীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সম্মেলন চলাকালীন ভাঙচুর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাঁকে তাঁর পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।