ভোটের ব্যাপারে অনড় ইসি, ‘ভোটার কম হলে আক্রান্তও কম হবে’
জাতীয় সংসদের ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।
সচিব আরো বলেছেন, ‘করোনার কারণে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হবে তাই আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও কম হবে। তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য উপ-নির্বাচন হবে কি না সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে উপনির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সচিব এ কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা চিন্তা করেছি, খুব ভালো পরিবেশে যেহেতু ভোটার উপস্থিতি কম ছিল, তাই করোনার কারণে ভোটার কম হবে এটা ধরেই নেওয়া হয়েছে। সুতরাং করোনার সংক্রামন হওয়ার সম্ভাবনাও কম।’
নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, যিনি বেশি ভোট পাবেন তিনি জয়ী হবেন। ভোটার উপস্থিতি কোনো বিষয় না।’
সচিব আরো বলেন, ‘এ সংক্রান্ত বৈঠকে কমিশন বিস্তারিত আলোচনা করেছে। এই নির্বাচন বন্ধ করলে সুবিধা কী এবং না করলে কী সুবিধা- এসব বিবেচনা করে সব মিলিয়ে ২১ মার্চ নির্বাচন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ভাইরাসের কারণে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে সেখানে হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।’
এই ভোটের কারণে যদি কেউ সংক্রামিত হয় কিংবা এর সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে এর দায়িত্বে দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন নিবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। প্রতিটি বুথের পাশে ব্যানার থাকবে। কী করণীয় ব্যানারে তার দিক-নির্দেশনা ব্যানারে থাকবে।’
মো. আলমগীর বলেন, ‘ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন যাতে বন্ধ হয় এ ধরনের কোনো অনুরোধ প্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। এখন যদি নির্বাচন বন্ধ করা হয় তাহলে প্রার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। নতুন করে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করলে তাদের অনেক টাকার অপচয় হবে। এসব কথা চিন্তা করে ভোটের দিন না পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া দেশে করোনাভাইরাস এখনো মহামারী আকারে ছড়াইনি। তাই ভোট হবে।’
আগামী শনিবার ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।