ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত দু-একদিনের মধ্যে : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত আগামী দুই-একদিনের মধ্যে নেওয়া হবে বলে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটার পর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সিইসি।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নির্বাচন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিইনি। আরো দুই-একটা দিন দেখি। কারণ, নির্বাচনের ব্যাপক প্রস্তুতি একদম শেষের দিকে। প্রার্থীরা বলেছে, তারা সাবধানে নির্বাচনী প্রচার করবেন। কিন্তু নির্বাচন যেন বন্ধ না হয়ে যায়। তাদের অনুরোধ আছে। তারা যদি জনসমাগমের বিষয়টা এড়িয়ে চলেন। আমরা বলেছি, যেন বিকল্পভাবে তারা ভোটারদের কাছে ভোট চায়, জনসমাগম না করে। তাই যদি হয়, তাহলে কোনো অসুবিধা নাই। কারণ, আমাদের তো জীবনের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। করোনার কারণে কোথাও কোথাও সীমিত হয়েছে। সীমিত আকারেই করবো।’
সিইসি বলেন, ‘২১ তারিখের নির্বাচন করার চিন্তা আছে এখনও। যদি পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন অবশ্যই আমরা বিবেচনা করব। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা চাচ্ছি, নির্বাচনটা হয়ে যাক।’
ভোটের দিন তো ভোটারদের উপস্থিতি থাকবে। ভোটের মাঠে অনেকে থাকবে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভোট বড় না আমাদের জীবন বড়- এই প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, ‘করোনা কতখানি আক্রান্ত করবে, সেটা আমরা বিশ্লেষণ করতে চাচ্ছি। আমি তো চলাচল করি, হাটে যাই, বাজারে যাই, নামাজে যাই, অফিসে যাই – এগুলো তো বন্ধ হয় নাই। তবুও আমরা আরো একটা-দুইটা দিন দেখব। তখন সবগুলো নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে উপনির্বাচন এবং ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।