মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে নবীগঞ্জ-শেরপুর রোডের ছালামতপুর হাজারী কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছে।
জানা যায়, আজ বিকেলে শহরতলীর ছালামতপুর হাজারী কমিউনিটি সেন্টারে নবীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি ওমর ফারুক কাওসার, প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক আরিফ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামিল হোসেন ও রায়হান উদ্দিন।
সভার শুরুতেই ছাত্রনেতা জহিরুল ইসলাম সোহেলের পক্ষের নেতাকর্মীরা আগে থেকেই মঞ্চের চেয়ার দখলে নেয়। পরে ছাত্রনেতা রায়েছ চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর পক্ষের নেতাকর্মী নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে বসার জায়গা না পেয়ে এ নিয়ে অন্যপক্ষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করে। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠান মঞ্চে এলে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়।
একপর্যায়ে কমিউনিটি সেন্টারের ভিতরেই চেয়ার নিয়ে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা মারামারি শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। শুরু হয় ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি। এতে গুরুতর আহত হন জুলন মিয়া, পাবেল মিয়া, শরীফুল ইসলাম জুনেদ, সাইফুর রহমান বাবু, পথচারী মুছন মিয়া ও পথচারী মহিম উদ্দিন ।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শরীফ আহমেদ আবিদ ও জুয়েল মিয়া নামের দুইজনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান জানান, ছাত্রদলের কর্মিসভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী সময়ে সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া সংঘর্ষে ভাঙচুর করা সাত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।