মানবিক কারণে ‘অত্যন্ত অসুস্থ’ খালেদা জিয়ার জামিন চায় পরিবার
মানবিক কারণে ‘অত্যন্ত অসুস্থ’ কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চায় তাঁর পরিবার।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি উঠে দাঁড়াতে পরছেন না। আমরা চাই, মানবিক দিকটা বিবেচনা করে চিকিৎসার জন্য তাঁর জামিন দেওয়া হোক।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে সেলিমা আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না, হাত বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। উনি খেতে পারছেন না, খেলে বমি হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাচ্ছি, মানবিক কারণে তাঁকে (খালেদা জিয়া) জামিন দেওয়া হোক।’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান পরিবারের পাঁচ সদস্য। তাঁরা বিকেল সোয়া ৩টার দিকে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বেরিয়ে আসেন স্বজনরা।
স্বজনদের মধ্যে রয়েছেন- খালেদা জিয়ার মেজ বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ছেলে অভিক ইস্কান্দার ও সামিয়া ইস্কান্দার।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে হাসপাতালের গেইটে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সেলিমা ইসলাম। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তো চাই মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হোক। তাঁর যা শরীরের অবস্থা এরপর তাঁকে জীবিত অবস্থায় নিতে পারব কি না, জানি না।’
‘সরকার মানবিক দিকটা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে জামিন দিক’, যোগ করেন সেলিমা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করেন এবং তাঁর সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর করেন। সেইসঙ্গে তারেক রহমানসহ মামলার অন্য আসামিদের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়।
অপরদিকে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।