রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা
আসন্ন গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে মৌসুমি রোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে জনপ্রত্যাশিত সেবা, নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ , ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
প্রধনমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভা কক্ষে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে ওই নির্দেশনা প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ মৌসুমী রোগ প্রতিরোধের প্রস্তুতি, এডিস, কিউলেক্স, অ্যানাফেলিস প্রভৃতি মশা নির্মূলে গৃহীত পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি, মশক নির্মূলের প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জামাদি যথাসময়ে সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় লোকবল মোতায়েন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও জনসচেতনতা মূলক প্রচারের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে পবিত্র রমজানে জনপ্রত্যাশিত সেবা, নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ ও জনদুর্ভোগ লাঘব- নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি, বিপণিবিতান, বাস-ট্রেন-লঞ্চ স্টেশনসহ জনপরিসরের নিরাপত্তায় গৃহীত পদক্ষেপ, গণ-উপদ্রব (প্রতারণা, ছিনতাই প্রভৃতি) প্রতিরোধ, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ মহানগরীসমূহের যানজট নিরসনে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জেলা প্রশাসন, খাদ্য মন্ত্রণালয়, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জননিরাপত্তা বিভাগ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশ, জননিরাপত্তা বিভাগকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
সভায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ- রমজান মাসে বিশেষ করে ইফতার, তারাবিসহ নামাজ ও সেহরির সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহে বিদ্যুৎ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং রেল যাত্রা- রেলের টিকেট প্রাপ্তি সহজলভ্য করার পদক্ষেপ, টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধ, শিডিউল বিপর্যয় নিরসনে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জেলা প্রশাসন, জননিরাপত্তা বিভাগ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগকে সড়কযাত্রা- বাস স্টেশনসমূহের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা, মহাসড়কের শৃঙ্খলা, যানজট নিরসন, বিভিন্ন রুটে বিআরটিসির বাস সংখ্যা বৃদ্ধি, টিকেট প্রাপ্তির সহজলভ্যতা, রাস্তা ও সেতু সংস্কার নিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নৌযাত্রা- ফেরি চলাচল/ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি, নৌঘাট, ফেরিঘাট ব্যবস্থাপনা, নৌযানের মান নিয়ন্ত্রণ, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধ, ঝুঁকিমুক্তি নৌচলাচল নিশ্চিতকরণ, টিকেট প্রাপ্তির সহজলভ্যতা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিমান যাত্রা অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি, টিকেটের মূল্য এবং শিল্প কল-কারখানার কর্মীদের যথাসময়ে মজুরি প্রদান ও ছুটি- গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন যথাসময়ে পরিশোধ, গার্মেন্টস কর্মীদের ছুটি পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রদান, পাটকল শ্রমিকদের যথাসময়ের মজুরি প্রদানের নির্দেশনাও প্রদান করা হয়।