রাজধানীতে আ.লীগনেতা ও শিক্ষার্থী হত্যা : ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ পেয়েছে র্যাব
রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুসহ দুজন নিহতের ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের বেশ কিছু মোটিফ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। র্যাবের আশা, আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারবে সংস্থাটি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আজ শুক্রবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ খবর জানিয়েছেন।
কমান্ডার আল মঈন বলেন, ‘রাজধানীর শাহজাহানপুরে খিলগাঁও রেলগেটে গাড়িতে গুলিতে ব্যবসায়ী ও এক শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় তদন্ত করছে র্যাব। অতীতেও এ ধরনের ঘটনায় গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে র্যাব। এটাও সেভাবে করা হচ্ছে। এক দুর্বৃত্ত হেলমেট ও মাস্ক পরে ঠিক মাইক্রোবাসটির বাঁ-পাশে গিয়ে গুলি চালায়। এ ঘটনার বেশ কিছু ফুটপ্রিন্ট, আলামত ও তথ্য এরই মধ্যে আমরা পেয়েছি। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেয়েছি। বেশ কিছু মোটিফ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা এসব মোটিফ পর্যালোচনা করছি এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীকেও আমরা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার মোটিফ এবং যে শুটার ছিল, তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে পারব।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা এক দুর্বৃত্ত তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে জাহিদুল ও তাঁর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশ দিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থী প্রীতিও। দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে তিনিও বিদ্ধ হন। পরে তিন জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ গাড়িচালক মুন্না বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।