রাজশাহীতে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ পাঁচ নেতা বহিষ্কার
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজশাহী মহানগরীর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ নেতাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুই যুবলীগ নেতার দলীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাচ্চু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযুক্ত পাঁচ নেতা নগরীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছিলেন। আর দুজনের বিরুদ্ধে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টায় মহানগর যুবলীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম ও সাধন কুমার ঘোষের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ফেসবুকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন শাওন এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ শেখকে।
এছাড়া মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততায় নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তর) যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ শেখ এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বিরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ১৭ জুন রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানার হেতেমখাঁ লিচুবাগান এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় যে, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষের নেতৃত্বে মসজিদে হামলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ফেসবুকভিত্তিক একটি চ্যানেলে যুবলীগের কয়েকজন নেতা মসজিদে হামলা হয়েছে দাবি করে বক্তব্য দিতে থাকেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা শাওনসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ২২০ জনকে আসামি করে শুক্রবার থানায় একটি মামলা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মনিরুল ইসলাম সুমন (৪০) ও রেজা (৩৫) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুই নেতার কার্যক্রম স্থগিত এবং তিনজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।
মহানগর যুবলীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহানগর আওয়ামী লীগের সুপারিশের ভিত্তিতে যুবলীগের এই সাত নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলো। যে দুজনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।