রাজশাহীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দুজনের লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে নগরীর শাহ মখদুম থানাধীন নওদাপাড়া এবং জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, আজ সোমবার সকালে উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের লালাদিঘী এলাকার পুকুর পাড়ের ঘর থেকে মাসুদ রানা (৪২) নামের এক মাছচাষির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মাসুদ রানা গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদের ভাগনে এবং উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আলমগীর কবীর স্বপনের ভাই। তিনি উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের চাপাল গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
ওসি আরও জানান, মাসুদ রানা ও তাঁর এলাকার লিটন নামের আরেক ব্যক্তি একসঙ্গে একটি সরকারি পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন। সোমবার ভোররাতে পুকুরে মাছ ধরার কথা ছিল তাঁদের। এ কারণে রোববার দিবাগত রাতে তাঁরা দুজন পুকুরে যান। তাঁরা পুকুরপাড়ে টং ঘরে ছিলেন। এরপর দিবাগত রাত ৩টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ওই পুকুরে মাছ চুরি করতে যায়। তারা লিটন ও মাসুদের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। এরপর তারা পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরতে থাকে। এরই মধ্যে লিটন ও মাসুদের ঠিক করা জেলেরা মাছ ধরতে চলে আসেন। তাঁদের দেখে চোরেরা জাল ও মাছ ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর জেলেরা টং ঘরে গিয়ে লিটনের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেন। তখন দেখা যায় যে, মাসুদ মারা গেছেন। আহত লিটন (৩৬) একই ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের রিয়াজের ছেলে।
ওসি বলেন, ‘যে জাল জব্দ করা হয়েছে, সেটা টানতে ১০ জনের বেশি লোক প্রয়োজন। তাই আমরা ধারণা করছি, চোরেরা ১০ জনের বেশিই ছিল। তাদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।’
এলাকাবাসী জানায়, নিহত মাসুদ আলীর পরনে সাদা টি-শার্ট ও লুঙ্গি ছিল। মাছ ধরার জাল দিয়ে তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল। মুখ ও গলায় গামছা পেঁচানো ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে, আজ সোমবার সকালে নগরীর শাহ মখদুম থানাধীন নওদাপাড়ার একটি অটোরিকশা গ্যারেজ থেকে আনিসুর রহমান (৬২) নামের এক নৈশ প্রহরীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, নওদাপাড়া বাজারের একটি অটোরিকশার গ্যারেজের নৈশ প্রহরী ছিলেন আনিসুর রহমান। সোমবার সকালে গ্যারেজের ভেতর থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
শাহ মখদুম থানার ওসি সাইফুল ইসলাম খান জানান, গ্যারেজ থেকে একটি ব্যাটারিচালিত নতুন অটোরিকশা চুরি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আনিসুরকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর অটোরিকশাটি চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আনিসুর রহমান নওদাপাড়া এলাকার মৃত ইয়াসিন আলীর ছেলে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।