রাস্তা সংস্কারের পর ‘চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় মারধর’, রিকশাচালকের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় চলাচলের অনুপোযোগী একটি কাঁচা রাস্তা সংস্কারের পর থেকে একদল লোক কয়েক দিন ধরে চলাচলকারী যানবাহন চালকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে আসছিলেন। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় শফিক মোল্লা নামের এক অটোরিকশা চালককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আসমত আলী মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এরপর বাড়িতে গিয়ে তিনি কয়েকবার বমি করার পর রাত ৮টার দিকে মারা যান।
পরে শফিকের মরদেহ গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত শফিক চররমনী মোহন ইউনিয়নের মজিদ মোল্লার ছেলে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁরা নিহত শফিকের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
নিহত শফিকের স্বজন ও পুলিশ জানায়, চররমনী মোহন গ্রামের আসমত আলী নামের কাঁচা রাস্তাটি বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি স্থানীয় তৌহিদ হোসেন ও মমিন উল্যাসহ কয়েকজন যুবক রাস্তাটি সংস্কার করেন। এরপর থেকে চলাচলকারী যানবাহন চালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। এর মধ্যে শুক্রবার বিকেলে রিকশাচালক শফিক যাত্রী নিয়ে এবং মিন্টু নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তৌহিদ ও মমিনের লোকজন তাঁদের কাছ থেকে ২০০ টাকা দাবি করেন। কিন্তু তাঁরা ১০০ টাকা দিয়ে চলে যায়। সন্ধ্যায় ফেরার পথে তাঁরা আবার শফিকের রিকশার গতিরোধের পর ৫০০ টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় তৌহিদ ও মমিনসহ তাঁদের সহযোগীরা শফিককে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর আহত অবস্থায় বাড়ি গিয়ে তিনি কয়েকবার বমি করার পর মারা যান।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান বলেন, ‘নিহত শফিকের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি৷ ১০০ টাকা নিয়ে শফিক ও অভিযুক্তদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। পরে শফিক মারা যান। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’