শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙনে গৃহহীন ২০০ পরিবার
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/07/25/kolar-bewra.jpg)
পদ্মার প্রবল স্রোতে জেলার জাজিরা উপজেলার মঙ্গলমাঝির ঘাট সংলগ্ন ওকিলউদ্দিন, মুন্সিকান্দি, আলমখার কান্দি ও পৈলান মোল্যাকান্দি গ্রামে গত কয়েক দিনে ১৯৭ পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
এদিকে, অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার চারটি পৌরসভা ও জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৫০টি গ্রামের প্রায় চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে প্রায় ২০টিরও বেশি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি ১০ সেন্টি মিটার কমে সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বানের পানিতে তলিয়ে গেয়ে জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার প্রায় এক হাজার হেক্টর ফসলি জমি। প্লাবিত এলাকায় খাদ্য, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বানভাসীরা তাদের গবাদি পশু নিয়ে উঁচু রাস্তা ও ব্রিজে আশ্রয় নিয়েছে।
ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কসহ জেলার বিভিন্ন সড়ক প্লাবিত হয়ে সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এখনো মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ ছোট ছোট কিছু যানবাহন চলাচল করলেও অব্যাহত পানি বৃদ্ধি পেলে যে কোনো সময় মঙ্গলমাঝির ঘাট ও কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের সঙ্গে জেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
এদিকে, পানিবন্দি কিছু কিছু এলাকায় সরকারি ত্রাণ সহায়তা দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. আশ্রাফ উজ্জামান ভুইয়া বলেন, ‘প্রবল স্রোতের কারণে জাজিরার মঙ্গলমাঝির ঘাটের পূর্ব পাশের তিনটি গ্রামে পদ্মার ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই তিনটি গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবার গৃহহীন হয়ে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছে অন্যত্র। ভাঙন কবলিত লোকজনসহ বন্যাকবলিত এলাকায় আমরা এ পর্যন্ত ২৬০ মেট্রিক টন চাল ও ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। সরকারে পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করছে।’