শীতের পোশাকে সয়লাব ভৈরবের ফুটপাত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ফুটপাতে বসা সাপ্তাহিক হাটে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার শীতের পোশাক বিক্রি হয়। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ভৈরব বাজার এলাকার সড়কের ফুটপাতে বসছে এই হাট। দেশের বিভিন্ন এলাকার মিনি কারখানার মালিকরা তাদের নানা পোশাকের পসরা নিয়ে বসেন এখানে। সেইসব পোশাক বৃহত্তর ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ইত্যাদি এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পাইকারি কিনে নিজ নিজ এলাকায় বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যানজট আর চুরি-ছিনতাইয়ে নাকাল এখানকার ক্রেতা-বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীদের এসব অভিযোগ স্বীকার করে হাটের ইজারাদার সহায়তা চেয়েছেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ পৌর কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, ভৈরব বাজারের নদীরপাড়, বাগানবাড়ি, ছবিঘর সিনেমা হল রোড, কাচারী রোড, ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া, জিল্লুর রহমান শহর রক্ষাবাঁধ সড়কের বিশাল এলাকা জুড়ে বসছে শীতের পোশাকের হাট। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল থেকে বিভিন্ন যানবাহনে কাপড় বোঝাই করে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ইত্যাদি জেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র কারখানার মালিক ও প্রতিনিধিরা তাদের তৈরি বাহারী এসব পোশাক নিয়ে হাজির হন এখানে। বসে পড়েন বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে। কেনা-বেচা চলে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর অবধি।
এখানকার ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, শহরের ভেতরে রিকশাসহ নানা যানবাহন প্রবেশের কারণে তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে। এতে করে ফুটপাতের এসব ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া মালামাল পরিবহণেও দেখা দিচ্ছে জটিলতা।
গাজীপুরের মিনি গার্মেন্টস মালিক রফিক উল্লাহ বলেন, ‘যানজট আর হাটের ভেতর রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল প্রবেশ তাদের বড় সমস্যা। অন্যদিকে চুরি, ছিনতাই ও পকেটমারের ঘটনায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে।’
অনেক সময় ব্যবসায়ীদের দুর্বৃত্তদের কাছে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ফিরতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করে নারায়ণগঞ্জের নজরুল ইসলাম, কটিয়াদীর সাইকুল মিয়া ও সরাইলের আলতাফ ভূঁইয়া বলেন, ‘চুরি ছিনতাই আর পকেটমার এই হাটের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
যানজটসহ চুরি-ছিনতাই ও পকেটমারের বিষয় স্বীকার করে হাটের ইজারাদারদের প্রতিনিধি মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘যোগাযোগসহ ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হওয়ায় এখানকার ব্যবসার প্রসার ঘটছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তবে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি আছে। এজন্য পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি।’