‘শেষ বয়সে সুষ্ঠুভাবে একটা ভোট দিতে পারলে জীবনটা স্বার্থক হবে’
বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বৃদ্ধা লুৎফা বেগম। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘জীবনের শেষ সময় এসে সুষ্ঠুভাবে একটা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে জীবনটা সার্থক হবে।’
গতবারের নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে ফিরে এসেছিলেন বৃদ্ধা লুৎফা বেগম। তিনি আরো বলেন, ‘গতবারে তো ভোট দিতে পারি নাই। এইবার তো আশা করি আল্লাহ যদি সুস্থ রাখে তাহলে একটা ভোট দিয়া আসমু। আগেরবার ভোটার সেন্টারেই যাইতেই দেয় নাই। তারা বলছে আপনার কোনো ভোট নাই। আমি বলেছি, আমি তো ভোটার, আমার ভোট নাই কেন? তাই সরকারের কাছে আমার আবেদন যে, এইবার যেন সুষ্ঠুভাবে ভোটটা দিতে পারি।’
আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চারদিকে এখন শুধু প্রার্থীদের পোস্টার আর পোস্টার। চলছে এসব প্রার্থীর মাইকে প্রচারণা। তবে ভোট দেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে ভোটারদের মধ্যে।
উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সহিদুল্লাহর কার্যালয়ে এসে এই প্রতিবেদকের সামনেই অভিযোগ করেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মুজাহিদুল ইসলাম সুজন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী হারুন-অর-রশিদ আমার প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেওয়াসহ কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছেন।’
এ বিষয় অভিযুক্ত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘উল্টো সুজনসহ তাঁর নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় শোডাউন করছে আর আমাদের কর্মীদের হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।’
জেলা নির্বাচন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আল মামুন বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী লিখিতভাবে অভিযোগ দিচ্ছেন না বা দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মিটিং করা হয়েছে। সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তত আছি।’
উল্লেখ্য, বোরহানউদ্দিন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ তিনজন এবং কাউন্সিলর পদে ৪২ জন পদপ্রার্থী লড়াই করছেন। এ পৌরসভায় নয়টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার ৭১৬ জন ভোটার তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।