শৈলকুপায় জমির বিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে হত্যা
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া আরাফাত রহমান নামের এক ছাত্র খুন হয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মারা যান তিনি। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আরাফাত কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। তিনি শেখপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর ওরফে বিদ্যুতের ছেলে। দুই ভাইবোনের মধ্যে আরাফাত ছোট।
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় শেখপাড়া বাজার কমিটির সেক্রেটারি রেজাউল জানান, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশের জমি ঘেরা নিয়ে একই গ্রামের গোলাম জোয়ারদারের সঙ্গে আরাফাতের বাবা জাহাঙ্গীরের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে গোলাম জোয়ারদার তাঁর ছেলে উজ্জ্বলকে ফোন করেন। পরে উজ্জ্বল লঠিসোটাসহ তিন থেকে চারজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ওই সময় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ভারী লাঠি দিয়ে আরাফাতের মাথায় আঘাত করেন তাঁরা। এরপর ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন আরাফাত। পরে তাঁকে উদ্ধার করে শেখপাড়া বাজারের গ্রাম্য চিকিৎসক লুৎফর রহমানের কাছে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আরাফাতের অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৩টার দিকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত ১২টার দিকে মারা যান তিনি।
আরাফাতের চাচাতো ভাই এমরান হোসেন জানান, রাজশাহী থেকে লাশ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আরাফাতের স্বজনরা।
শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমান জানিয়েছেন, গতকাল রাতে আরাফাতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। বড় ধরনের সংঘর্ষের খবর পেয়ে একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন তিনি। আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।