ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পাটকে লোকসানি খাতে পরিণত করা হয়েছে : জাসদ
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছে সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। পাটশিল্পকে গলা টিপে মেরে ফেলা ও সৎকারের আয়োজন থেকে ফিরে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ রোববার এক বিবৃতিতে জাসদ একাংশের সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এ কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু ও শিরীন বিবৃতিতে বলেন, পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিণত করার দায় শ্রমিকের না বরং যখন যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পাটকে লোকসানি খাতে পরিণত করা হয়েছে। পাটশিল্পের লোকসানকে অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তারা বলেন, ২৫টি কারখানা মানে শুধু ২৫ হাজার শ্রমিকই না, পাটশিল্প মানে বিশাল অর্থনীতি। এক কোটি পাটচাষি থেকে শুরু করে চট উৎপাদনের মাঝখানে, অগ্র ও পশ্চাতে আরো এক কোটি মানুষ পাটকেন্দ্রিক অর্থনীতি ও জীবন-জীবিকার সঙ্গে যুক্ত।
জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, আদমজী পাটকল বন্ধ হওয়ার পর সেখানে আধুনিক পাটকারখানা গড়ে তোলার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। আদমজীর জমি হরিলুট হয়েছে। সরকারের পিপিপির অধীনে পাটকলগুলো চালু করার সদিচ্ছাও আদমজীর মতো হরিলুটের খেলায় হারিয়ে যাবে।
তাঁরা পাটকলগুলো বন্ধ করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে প্রতিটি পাট কারখানাকে একটি এন্টারপ্রাইজ হিসেবে পরিচালনার করার জন্য সরকার ও শ্রমিকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে নতুন ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার পাইলট প্রজেক্ট গ্রহণ করার দাবি জানান।
জাসদ নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৫টি পাটকল বন্ধের জন্য যে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তা থেকে মাত্র এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ২৫টি পাটকল আধুনিকায়ন করে ২৫ হাজার শ্রমিককে মাসে ২৫ হাজার টাকা মজুরি দিয়ে লাভজনকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব।
তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহে যখন পাটের জিনোম আবিষ্কৃত হয়েছে, পাটের পুনর্জাগরণের প্রচেষ্টা চলছে তখন পাটকল বন্ধ করে দেওয়া এবং পাট অর্থনীতিকে পরিত্যক্ত করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।