সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ উপেক্ষা, মাস্ক ব্যবহারে অনীহা
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজধানীসহ সারা দেশে সরকারের ঘোষিত বিধিনিষেধ আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হলেও সাধারণ জনগণের মধ্যে মাস্ক পরায় চরম অনীহা লক্ষ করা গেছে। মাস্ক না পরাদের তেমন শাস্তির আওতায় আনতেও দেখা যায়নি বিধিনিষেধের প্রথম দিনে। রেস্তোরাঁগুলোতে টিকাসনদ দেখানোর বিষয়টি চোখে না পড়লেও উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশের দেখা মেলেনি।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রিপরিষদঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আজ থেকে বাসার বাইরে বের হতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তবে, এমন ঘোষণায় রাজধানীতে ঘরের বাইরে প্রাত্যহিক কাজকর্মে রাস্তায় বের হওয়াদের মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। মাস্ক ছাড়াই রাস্তা, বাজার, শপিংমলসহ সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ। মাস্ক পরায় কেবলই অনীহা, আছে উদাসীনতা।
কেন মাস্ক পরা নেই জানতে চাওয়া হলে কেউ বলেন, ‘যখন মাস্ক খুললাম, তখনই আপনি দেখেছেন।’
আরকেজন বলেন, ‘আমি দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে পারি না। আমার শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তাই মাস্ক খুলে রেখেছি।’
কেউ আবার বললেন, ‘এটা নিয়ে রির্পোট করার কিছুই নেই।’
আরেকজন জানালেন, তিনি মাত্রই মাস্ক কিনেছেন।
আরেক পথচারী বলেন, ‘এই যে সামনে গিয়েই মাস্ক পরছি।’
মাস্ক না পরাদের জবাবদিহির আওতায় আনার কথা বলা হলেও তেমনটা লক্ষ করা যায়নি বিধিনিষেধ জারির প্রথম দিনে। চোখে পড়েনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকাণ্ডও।
এ ছাড়া রেস্তোরাঁয় খেতে টিকার সনদ দেখানোর বিধান জারি করা হলেও বাস্তবে কাউকেই সনদ প্রদর্শন করতে দেখা যায়নি। তবে, উন্মুক্ত স্থানে বিপুল জনসমাগম কিংবা রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ চোখে পড়েনি রাজধানীর কোথাও।
রাজধানীর একজন হোটেলমালিক বলেন, ‘টিকার সনদের বিষয়ে আমরা বুঝিয়ে দিচ্ছি। কেউ বসছেন, কেউ আবার চলে যাচ্ছেন।’
হোটেলে খাচ্ছেন—এমন একজনকে করোনার টিকাসনদ আছে কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার কাছে সনদ নেই, কিন্তু টিকার এসএমএস আছে।’
আরেকজন বলেন, ‘এখনও টিকা নিতে পারিনি শারীরিক সমস্যার কারণে, তবে নেব।’ হোটেলে ঢোকার সময় করোনার টিকাসনদ দেখাতে হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘না’।
বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার বিধানটি দুদিন পিছিয়ে শনিবার থেকে কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এরই মধ্যে। তাই, অন্যদিনের মতোই ছিল গণপরিবহণে চলাচল। তবে, ভাড়া না বাড়িয়ে বাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার বিষয়ে এখনও একমত নন পরিবহণ শ্রমিকেরা।