সাতক্ষীরায় লকডাউন নয়, কঠোর বিধি-নিষেধ ও সীমান্তে নজরদারি
এখনই লকডাউন নয়, সবদিক বিবেচনা করে আগামী ৩ জুন মিটিংয়ে সাতক্ষীরায় লকডাউন হবে কি না, সে সম্পর্কে জেলা পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। আজ সোমবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত করোনাবিষয়ক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে সাতক্ষীরা জেলায় বেশকিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত, বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়নের উপপরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তারা।
সবার সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরা সীমান্তের চোরাইপথ দিয়ে অবৈধ লোকজনের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ জন্য সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী উপজেলা সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া, কালিগঞ্জ, দেবহাটা ও শ্যামনগরের কৈখালি ইউনিয়ন সংলগ্ন সীমান্ত পাহারায় স্থানীয়ভাবে প্রতিরক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে থাকছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), বিজিবি প্রতিনিধি এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা। প্রতিরক্ষা কমিটি সীমান্তের চোরাচালানি, মানুষ পাচারকারী ও অবৈধ যাতায়াতকারীদের চিহ্নিত করবে। একইসঙ্গে তাদের বাড়িঘর এবং চলাফেরার ওপর কড়া নজরদারি রাখা হবে।
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরায় বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আল মাহমুদ বলেন, বিজিবি সদস্যরা কয়েক সপ্তাহ ধরে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে লাগাতার টহল চালিয়ে যাচ্ছেন। অবৈধ লোকজনের যাতায়াত রোধে এই সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রথমদিকে কয়েকজন লোককে গ্রেপ্তার করা হলেও বর্তমান সময়ে অবৈধ যাতায়াত দৃশ্যমান হচ্ছে না।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরা জেলা করোনা রেড অ্যালার্টের আওতায় রয়েছে। এ ছাড়া সীমান্ত গলিয়ে লোকজনের অবৈধ পারাপার রোধ করতে বিজিবি মাঠে রয়েছে। তিনি জানান, ভোমরা বন্দর দিয়ে প্রতিদিন আসা ৩০০ পণ্যবাহী গাড়ির পাঁচ শতাধিক চালক ও হেলপার যাতে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে না পারে সে ব্যাপারেও বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে।
এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার করে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ লঙ্ঘন করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবেন।
বৈঠকসূত্র আরও জানিয়েছে, বর্তমান করোনা সংক্রমণের হার কতটা, তা নিশ্চিত করে আগামী ৩ জুন সাতক্ষীরায় লকডাউনের সম্ভাবনা রয়েছে।