সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু, সড়কে পুলিশ
সাতক্ষীরায় করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ শনিবার সকাল থেকে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ১১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে।
লকডাউন চলাকালে সব ধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের টহল রয়েছে। এ ছাড়া যশোর ও খুলনা থেকে সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশের মুখে বেশ কয়েকটি চেকপোস্টও বসানো হয়েছে।
এদিকে, লকডাউন চলাকালে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকছে। তবে বন্দরের সব বাজারঘাট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এই সময়কালে বাংলাদেশ ও ভারতে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বৈধ ও অবৈধ পন্থায় যাতায়াত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলন কক্ষে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধবিষয়ক এক বৈঠকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, কয়েকদিনের গড় হিসাবে সাতক্ষীরায় করোনা শনাক্তের হার ৫৭ শতাংশ। অপরদিকে করোনা পজিটিভ নিয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন ২৪৫ জন।
জেলা প্রশাসক জানান, লকডাউনের এক সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটার জন্য সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে ফার্মেসি, হাসপাতাল, ক্লিনিক, অ্যাম্বুলেন্স ও বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সব সময় খোলা থাকবে। একইসঙ্গে ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক থাকবে। তবে বন্দরের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। দূরপাল্লা ও আন্তজেলা বাস চলাচল এ সময় বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে মোটরসাইকেল চলাচলও। সাতক্ষীরার সঙ্গে যশোর ও খুলনার সড়ক যোগাযোগে পয়েন্টগুলোতে পুলিশ চেকপোস্ট থাকবে। এ সময় সীমান্তে পারাপার বন্ধ থাকবে। শহরে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের জরিমানা করা হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় ২৪৫ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ও কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৯ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।