সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তবে এর প্রয়োজন ছিল না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও এর কোনো প্রয়োজন ছিল না।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় দেশটির রাজধানী আবুধাবিতে গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংবাদপত্রটির অনলাইন সংস্করণে শনিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে। সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা সংকটসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ দশমিক ৭ শতাংশ হিন্দু ও শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বৌদ্ধ থাকার তথ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরো বলেন, ভারত থেকে কেউ বাংলাদেশে ফিরে এসেছে, এমন ঘটনাও ঘটেনি। তবে ভারতে অনেকে সমস্যার মধ্যে আছেন।
বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময়ই সিএএ এবং এনআরসিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। অপরপক্ষে ভারত সরকারও বরাবরই বলে আসছে, এনআরসি সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং ২০১৯ সালের অক্টোবরে আমার নয়াদিল্লি সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’
প্রতিবেশী হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে একে অপরের সহযোগী। এ বিষয়টির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর ভারতের সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হয়। এ আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে যেসব হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ ২০১৪ সালের আগে ভারতে গেছেন, তাঁরা সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হবেন।