সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ শুরু হয়।

এর আগে গত বুধবার এ মামলার আট আসামি তাদের বক্তব্য মৌখিকভাবে  আদালতে উপস্থাপন করেন এবং সিনহা হত্যার ঘটনায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। অপর সাত আসামির বক্তব্য গ্রহণের জন্য ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম আজ সোমবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫-এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামকে পাঁচ দিনব্যাপী আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেছেন। গত ১ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে এ জেরা শেষ হওয়ার পর সাক্ষীদের বক্তব্য আসামিদের শোনানো হয়। ওইদিন আট আসামি তাঁদের বক্তব্য মৌখিকভাবে আদালতে জানিয়েছেন এবং লিখিতভাবে আদালতে বক্তব্য দেবেন বলে জানান। তবে তাঁরা সাফাই সাক্ষী দেবেন না বলে আদালতকে জানিয়েছেন।

পিপি জানান, এ তিন দিন বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত আসামি আদালতে নিজেদের বক্তব্য দেবেন।

এদিকে, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রদীপ কুমার দাশসহ এই মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ২৩ আগস্ট থেকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমালের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়ে ১ ডিসেম্বর শেষ হয়। যেখানে ৬৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত বছর ৩১ জুলাই টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।