সিরাজগঞ্জে আরো অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন
যমুনার তীব্র স্রোতে গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের সিমলা এলাকায় আরো অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, মসজিদ, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে আশপাশের আরো দু-তিনটি গ্রাম।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ জীবন বাঁচাতে সবকিছু ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে। গত দুদিনের নদীভাঙনে দুই শতাধিক মানুষ গৃহহীন ও নিঃস্ব হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর মধ্যে নদীভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত জেলার কাজীপুর, সদর, উল্লাপাড়া, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি ও নদীভাঙনের কবলে পড়া অসংখ্য মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল আলম জানিয়েছেন, সিমলা এলাকায় ব্যাপক নদীভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুদিনে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি, মসজিদ, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, সিমলা স্পার বাঁধটি নদীতে বিলীন হওয়ায় যমুনার স্রোত গতি পরিবর্তন করে সরাসরি বাঁধে আঘাত করছে। এ কারণে হঠাৎ করেই ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার অসীম কুমার জানান, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের আপাতত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।