সিলেটে ফরিদ হত্যাকাণ্ড : ইউপি সদস্যসহ আটক তিন
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় আলোচিত ফরিদ উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। মৌলভীবাজারের শেরপুর এলাকা থেকে প্রথমে ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন ও পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে মোস্তাক আহমদ এবং কাওছার আহমদকে আটক করা হয়। একই দিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত স্বামীকেও আটক করা হয়।
আজ শুক্রবার সকালে র্যাব-৯-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। আবদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-৯ মৌলভীবাজারের শেরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী নাজিম উদ্দিনকে আটক করে। নাজিম উদ্দিন কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রাসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে নগরীর বন্দর বাজার থেকে সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমদ এবং দক্ষিণ সুরমা থেকে কাওছার আহমদকে আটক করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রহমান জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ৩১ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার মন্তাজগঞ্জ এফআইভিডিবি স্কুলের পাশে হামলায় গুরুতর আহত হন ফরিদ। হামলাকারীরা ফরিদের একটি পা কেটে নিয়ে যান। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান ফরিদ। এ ঘটনায় নিহত ফরিদের বাবা মো. রফিকুল হক কানাইঘাট থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ককর্মকর্তা জানান, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে গৃহবধূ রাজনা বেগম হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত স্বামী সফিক মিয়াকে মুন্সীগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার যৌতুকের জন্য রাজনা বেগমকে হত্যা করে তাঁর স্বামী পালিয়ে যায় বলে দাবি র্যাবের।