সিলেটে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণ করা হয়েছে বলে রুহুল আমিন শাহার নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার মামলা করা হয়েছে। বিশ্বনাথ উপজেলায় একটি বাড়িতে গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পরিবারের।
এ ঘটনার পর বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে গ্রামের মাতব্বররা কৌশলে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় ওই মামলায় আরো ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষক রুহুল আমিন সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের নতুন জামে মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় জামিয়া ইসলামিয়া আব্বাসিয়া কৌড়িয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।
মামলার অন্য ছয় আসামি হলেন খাজাঞ্চী ইউনিয়নের মখদ্দছ আলী (৬৩), চান্দ আলী (৫৫), লিয়াকত আলী (৫০), আবদুস শহিদ (৫২) ও সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের মাহফুজ বিন আরিফ (১৯)।
এদিকে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে থানা পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি ইসলামপুর গ্রামের মাতব্বর মখদ্দছ আলী ও মসজিদের মোয়াজ্জিন মাহফুজ-বিন-আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, বাক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কাজ করত। গত মঙ্গলবার রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন রুহুল আমিন শাহার। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় শাহারকে প্রধান আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন কিশোরীর বড় বোন। বিষয়টি গ্রামের মাতব্বররা মিমাংসার কথা বলে কৌশলে ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় ওই মামলায় আরো ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা জানান, প্রধান আসামিসহ সব আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।