সীতাকুণ্ডে মনিটরিং টিমের অবহেলা ছিল : নৌ-প্রতিমন্ত্রী
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনার পেছনে মনিটরিং টিমের অবহেলা ছিল বলে প্রাথমিক ধারণার কথা জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। একই সঙ্গে বলেছেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।’ আজকের মধ্যেই প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আলাদা কোনো বিষয় না। এখানে কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য যেসব অংশীজন আছে, আমরা একসঙ্গেই আছি। প্রাথমিকভাবে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হচ্ছে যেহেতু কিছু নীতিমালা, বিধিমালা, আইন-কানুন মেনেই প্রাইভেট কন্টেইনার ডিপো সেটা এখানে আছে, আমি মনে করছি, তাদের এখানে অবহেলাটা প্রাথমিকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘আইএমডিজি নীতিমালা এবং আইএসপিএস যে কোড আছে, সে অনুযায়ী কন্টেইনার ডিপো পরিচালনা করার কথা। যদি এ দুটি নীতিমালা ও কোড অনুসরণ করে তারা ডিপো পরিচালনা করত, তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত না।
জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত এটা বলা যাচ্ছে না।’ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আশা করছি আজকের মধ্যেই প্রতিবেদনটি চলে আসবে। তারপর আমরা পদক্ষেপ নেব।’ মামলা প্রসঙ্গেও তিনি একই মন্তব্য করেন।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর তাদের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে। কিছু পরে ঘটনাস্থলে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের আরও সাতটি ইউনিট। ভোরের দিকে আশপাশের জেলা থেকে পাঁচটিসহ ১০টি ইউনিট যোগ দেয়। তবে, বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ আশপাশে যেতে পারেননি। এর সঙ্গে যোগ হয় পানির স্বল্পতা। ডিপোতে কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের সংখ্যাও বেড়ে চলছে। সেখানে ভর্তি হওয়া আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা সাড়ে চারশ বলে ধারণা করা হচ্ছে।