স্ত্রীকে হত্যার পর সেপটিক ট্রাঙ্কে, শেষ রক্ষা হলো না

স্ত্রীকে হত্যা করে তাঁর লাশ সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রেখেছিলেন স্বামী শহিদুল ইসলাম। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ও সন্দেহের বাইরে থাকতে কালিগঞ্জ থানায় নিজেই একটি জিডি করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে গলিত লাশের গন্ধ পেয়ে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। তারা শহিদুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ধরা খেয়ে স্ত্রী মারুফাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
আজ বুধবার পুলিশ সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মারুফা খাতুনের (৩৫) লাশ তোলেন।
নিহত মারুফা খাতুন উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী।
জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর শহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী মারুফাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর পুকুরের পানির মধ্য দিয়ে লাশ টেনে বাড়ির পাশের একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। গ্রামবাসী ও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে তিনি নিজেই ১৯ নভেম্বর কালিগঞ্জ থানায় স্ত্রী নিখোঁজ জানিয়ে একটি জিডি করেন।
এদিকে আজ সকালে লাশের পচা গন্ধ পেয়ে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। তারা শহিদুলকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশের কাছে শহিদুল হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, লাশটি ট্রাঙ্ক থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।