স্বর্ণ লুট : মাদক নিয়ন্ত্রণের সহকারী পরিচালকসহ পাঁচজন কারাগারে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/01/23/sakib_0.jpg)
গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে ৯০ ভরি স্বর্ণ লুটের অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হোসেনসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস এই আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৭ জানুয়ারি পুরান ঢাকা তাঁতীবাজার থেকে স্বর্ণ কিনে ফিরছিলেন মুন্সীগঞ্জের লাকী জুয়েলার্সের কর্ণধার ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান। তারপর কয়েক ব্যক্তি রাস্তা থেকে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে ৯০ ভরি স্বর্ণ লুট করে। অজ্ঞাত ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয় বলে মামলার নথি থেকে জানা গেছে।
এ ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ প্রথমে স্বর্ণের দোকানের দুই কর্মচারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাকিব হোসেনের নাম বলে।
এরপর সিপাহি আমিনুল, সোর্স হারুনসহ সাকিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯ জানুয়ারি সাকিব হোসেন, সোর্স হারুন ও সিপাহি আমিনুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
২০ জানুয়ারি এই মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গাড়িচালক ইব্রাহিম শিকদার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া আসামি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এমদাদুল ও সিপাহি আলমগীরকে দুদিন করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামি সাকিব হোসেন মুন্সীগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তবে মাসখানেক ধরে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করার জন্য রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন।