হরতালের সমর্থনে নয়াপল্টনে তাবিথ-ইশরাক
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/02/02/ishrak.jpg)
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। হরতালের সমর্থনে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন বিএনপি মনোনীত ঢাকা উত্তরের মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেন। আজ রোববার দুপুর ২টার কিছু পরে তাঁরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে উপস্থিত হন।
এ সময় ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফলে যে পরিমাণ ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে, তার চেয়ে অনেক কম ভোট কাস্ট হয়েছে। আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগ সমর্থকরা সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেননি। যে ফল ঘোষণা হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ মনগড়া একটি সাজানো ফল। এ ফলের মাধ্যমে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। আমরা এ ফল প্রত্যাখ্যান করছি।’
আরেক প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘ন্যূনতম সুষ্ঠু ভোট হয়নি। এ রকম নির্বাচন আমরা কখনই প্রত্যাশা করিনি। আমরা এই ভোটচুরির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি।’
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে আজ সকাল ৭টা থেকে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৯টায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় প্রতীকী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
এদিকে, হরতাল ঘিরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান লক্ষ করা গেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘হরতাল গণতন্ত্রের অন্যতম অস্ত্র। গণতন্ত্রের এই অস্ত্রের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দাবি আদায় করব। হরতাল মানে কোনো বিধ্বংসী কাজ নয়, হরতাল মানে আগুন দিয়ে পোড়ানো নয়। হরতালে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা মানুষকে বলব গাড়ি চালাবেন না, দোকানপাট খুলবেন না।’
বিএনপি নেতা আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটাকে ভিন্ন খাতে চিহ্নিত করেছেন, আমরা ওই খাতে যাব না। আমরা শান্তি-অস্ত্র প্রয়োগ করব। আমাদের এখানে যত নেতাকর্মী আছে প্রত্যেকেই শান্তিপ্রিয়। আমরা গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্রয়োজনে নিজের শার্টের বোতাম খুলে গুলি বরণ করব। তবু অশান্তি সৃষ্টি করব না। আমাদের রক্ত ঝরবে, কিন্তু আমরা অন্য কারো রক্ত ঝরাব না।’
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে নয়াপল্টনে এসে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে স্লোগান ধরেন ইশরাক হোসেন। তিনি স্লোগান দেন, ‘ভোট চুরির নির্বাচন, মানি না মানব না’, ‘প্রহসনের নির্বাচন, মানি না মানব না’। দুপুর ২টার দিকে বিক্ষোভে এসে যোগ দেন উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
এদিকে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।