হেফাজতে ইসলামের মহাসচিবের জানাজা সোমবার সকালে

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর জানাজা আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ঢাকা উত্তরার জামেয়া সোবহানিয়া মাহমুদনগর মাদ্রাসার কবরস্থান প্রাঙ্গণে তাঁকে দাফন করা হবে।
আজ রোববার বিকেলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহপ্রচার সম্পাদক মুফতি ফজলুল করীম কাসেমী এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
নূর হোসাইন কাসেমী রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার দুপুর ১টায় ইন্তেকাল করেন। গত ১ ডিসেম্বর শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে আল্লামা কাসেমীকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। নূর হোসাইন কাসেমীর ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্ট থাকলেও কয়েক দফা করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল আসে।
নূর হোসাইন কাসেমী হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর মৃত্যুর পর গত ১৫ নভেম্বর নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে আল্লামা বাবুনগরীকে আমির ও নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়।
তিনি একাধারে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, আল হাইআতুল উলয়ার সহসভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি এবং জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ঢাকা ও জামিয়া সোবহানিয়া মাহমুদ নগরের শায়খুল হাদিস ও মহাপরিচালক ছিলেন।
হেফাজত আন্দোলন, খতমে নবুয়ত আন্দোলনসহ প্রভৃতি আন্দোলনে নূর হোসাইন কাসেমী নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি প্রায় ৪৫টি মাদ্রাসা পরিচালনার কাজে যুক্ত ছিলেন।