‘দেশের মানুষ জানল মৃত জুবায়েরের নাম’
‘জুবায়ের চেয়েছিল অনেক বড় অফিসার হবে, সারা দেশের মানুষ তার নাম জানবে, তাকে চিনবে। আজ সারা দেশের মানুষ মৃত জুবায়েরের নাম জানল, চিনল।’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ (২২) হত্যা মামলার রায়ের পর কাঁদতে কাঁদতে প্রতিক্রিয়া জানান জুবায়েরের মা হাসিনা বেগম।
জুবায়েরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায়। মামলার রায় ঘোষণার সময় বাবা ও মা কলাপাড়ায় নিজেদের বাড়িতে ছিলেন।
হাসিনা বেগম এনটিভিকে বলেন, ‘আমার দুটি প্রদীপ, একটি নিভে গেছে। রাতে ঘুমাতে গেলে জুবায়ের চোখের সামনে চলে আসে। সারা রাত আর ঘুমাতে পারি না। কান্না আমার একমাত্র সঙ্গী। আমার দাবি, আর যেন কোনো মায়ের বুক এভাবে খালি না হয়, স্বপ্ন ভেঙে না যায়।’
জুবায়েরের বাবা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ওরা শুধু আমার সন্তান কেড়ে নেয়নি, সাথে নিয়ে গেছে স্বপ্ন, আমাদের চোখের ঘুম। মামলার রায়ে আমরা খুশি তবে আসামি ১৩ জনেরই ফাঁসি হলে আরো বেশি খুশি হতাম।’ তিনি আরো বলেন, কোর্ট থেকে পালিয়ে যে আসামিরা বিদেশে চলে গেছে, তাদের ধরে এনে ফাঁসি দেওয়া হোক। তাহলে আমার ও জুবায়েরের আত্মা তৃপ্ত হবে।’
জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক ব্যানারে দুপুরে আনন্দ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।