'বেতন ৩০ হাজার টাকার কম হবে না'
এখন থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার করে গৃহকর্মী সৌদি আরবে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, কর্মীরা যাবেন সরকারের তত্ত্বাবধানে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে। তাঁদের বেতন ৩০ হাজার টাকার কম হবে না।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর প্রবাসীকল্যাণ ভবনে সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপমন্ত্রী ড. আহমেদ আল ফাহাইদের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, কবে নাগাদ বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো শুরু হবে সেই দিনক্ষণ আরো আলাপ-আলোচনার পর ঠিক হবে।
সৌদি আরব যেতে কর্মীদের কোনো টাকা-পয়সা দিতে হবে না বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো তাদের খরচ বাবদ টাকা-পয়সা যা নেওয়ার, তা নেবে সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে; বাংলাদেশ থেকে যাঁরা যাবেন তাঁদের কাছ থেকে নয়।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরব। কিন্তু নানা জটিলতায় প্রায় সাত বছর আগে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বলতে গেলে বন্ধ করে দেয় দেশটি। তার পর থেকেই চলতে থাকে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলাপ-আলাচনা আর দেনদরবার। অবশেষে সেই শ্রমবাজার আবারও খুলে যাওয়ার সুখবরটি আসে এ মাসের প্রথম দিনে। আর কর্মী নেওয়ার প্রাথমিক ধাপে রোববার বাংলাদেশ সফরে আসে দেশটির একটি প্রতিনিধিদল।
আজ প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শেষে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (সৌদি আরব) আমাদের দেশ থেকে লোক নেওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী এবং আমার সাথে তো তাদের লম্বা কথা হলো। প্রথম এবং প্রধান বিষয় যেটা আলোচনা হয়েছে, সেটা হলো আমরা দুই সরকারই একমত যে একেবারে মিনিমাম কস্টে লোক পাঠাব এবং দুই সরকারের একটা ওয়ার্কিং কমিটি থাকবে, তারা অত্যন্ত ক্লোজলি মনিটর করবে যাতে লোকজন কোনোমতেই ব্যাপক টাকা খরচ করে বিদেশে না যায়। আমি একটা কথা সব সময় বলতেছি যে, বিদেশে যাইতে হইলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি লাগবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এখান থেকে যে যাবে তার ভিসার কস্ট এমপ্লয়ার (নিয়োগকারী) দেবে, তার যাতায়াত ভাড়া এমপ্লয়ার দেবে, তার থাকার খরচও এমপ্লয়ার দেবে। তার যাওয়ার বাবদ এক আনা পয়সা লাগবে না। ১৫ হাজার টাকার কথা আমি যেটা বলতেছি, সেটা হলো তার গ্রাম থেকে শহরে আসা, ঢাকায় আসা, পাসপোর্ট করা, ইনিশিয়াল মেডিকেল যদি কিছু করা লাগে সেইগুলা করা... ইন্টারনাল খরচ বাবদ ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য তার এক আনা পয়সাও লাগবে না।’