বিএসএফের গুলতিতে চোখ গেল শিশুর
সাতক্ষীরা কাকডাঙা সীমান্ত এলাকায় সোনাই নদীতে গোসল করার সময় বিএসএফের ছোঁড়া গুলতির আঘাতে এক শিশুর চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনায় আরো এক গৃহবধূ আহত হয়েছেন। চোখে আঘাত পাওয়া শিশু জনি আলমকে (১০) সাতক্ষীরা চক্ষু ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুর গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত বাম চোখে অস্ত্রপচারের পর তা তুলে ফেলা হয়েছে। বিএসএফ গুলতি ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সাতক্ষীরা চক্ষু ক্লিনিকের চিকিৎসক এ কে এম আমিনুর রহমান জানান, শিশুটির চোখে গুলতির আঘাত এতই গুরুতর ছিল যে শেষ পর্যন্ত নষ্ট চোখটি অপসারণ করতে হয়েছে। তিনি আরো জানান, গুলতি শিশুটির চোখ ভেদ করে অক্ষিকোটরে আঘাত করে। আহত শিশু জনি আলম কেওড়াগাছি গ্রামের মোহাম্মদ আলমের ছেলে। সালমা খাতুন একই গ্রামের ওয়াশিকুর রহমানের স্ত্রী।
বিজিবির ৩৮ ব্যাটালিয়নের কাকডাঙা বিওপি কমান্ডার সুবেদার হায়দার আলী জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুরে অন্যান্য দিনের মতো গৃহবধূ সালমা ও শিশু জনি বাড়ির পাশের সোনাই নদীতে গোসল করছিল। এ সময় বিএসএফের ১৫২ ব্যাটালিয়নের তারালি ক্যাম্পের সদস্যরা গুলতি ছোড়ে। এ সময় পরপর দুটি গুলি সালমা খাতুনের মাথায় ও জনি আলমের চোখে লাগে। আহতদের চিৎকারে গুরুতর আহত জনিকে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।পরে তাকে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সুবেদার হায়দার আলী আরো জানান, গুলতি ছোড়ার প্রতিবাদ জানাতে আজ বিকেল ৫টায় কাকডাঙা সীমান্তে বিজিবি বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়।পতাকা বৈঠকে বিজিবির সাথে বিএসএফের পক্ষে বসেন তারালি ক্যাম্পের অধিনায়ক ইন্সপেক্টর তপন্ন। তবে এই বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হলেও বিএসএফ গুলতি ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আগামীকাল বুধবার একই বিষয়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান হায়দার আলী।