মায়ার রায়ে হাইকোর্টের সমালোচনা আপিল বিভাগের
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ বিচারিক মনোভাবের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বুধবার মোফাজ্জল হোসেন মায়ার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে আপিল বিভাগ বলেন, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্ট বিচারিক মনোভাবের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেওয়ার কোনো উপাদানই নেই। তাই মামলাটি হাইকোর্ট বিভাগে পুনরায় আপিলের শুনানির জন্য ফেরত পাঠানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ পূর্ণাঙ্গ রায় লেখেন। অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, সৈয়দ মাহমুদ হাসান ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ ছিদ্দিকী।
গত ১৪ জুন মায়াকে খালাস করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে আবার আপিল শুনানির আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৩ জুন সূত্রাপুর থানায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে মায়া ২৯ লাখ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। ২০০৮ সালে ঢাকার একটি বিশেষ আদালত মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা করেন। পরে মায়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৫ মে হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিলের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট মায়ার আপিল মঞ্জুর করে তাঁর সাজা বাতিল করে খালাস দেন।