শাবিতে উপাচার্য ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/24/photo-1435163342.jpg)
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অপসারণ ইস্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী মানববন্ধন করে। এ মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিল ‘কতিপয় স্বার্থান্বেষী শিক্ষকের আন্দোলনের নামে শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি ও স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ’। এ মানববন্ধনের পেছনেই বসে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ আয়োজনের নেপথ্যে ছিল ছাত্রলীগ। তবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সরাসরি ওই মানববন্ধনে অংশ নেননি।
মানববন্ধনের পেছনেই বসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ বলেন, ‘শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যাঁরা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে গেছেন তাঁরা সনদ তুলতে পারছেন না।’
একই ইস্যুতে একই সময়ে সাধারণ সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে আয়োজিত সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. কবির হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. কামাল আহমদ, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক সাজেদুল করীম।
সভায় শিক্ষক নেতারা কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। এ সময় তাঁরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তাঁকে ওই পদে বহাল রাখারও দাবি করেন।
ওই সভাকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তা বর্জন করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ সদস্যের কমিটির সাত সদস্য। উপাচার্য অপসারণ আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল গনি বলেন, ‘অবৈধভাবে গঠনতন্ত্র অমান্য করে এ সভা আহ্বান করেছেন সমিতির সভাপতি-যুগ্ম সম্পাদক।’
এদিকে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকরা’। গত সোমবার থেকে শুরু করে আজ বুধবার সকালেও তাঁরা উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমিনুল হক ভূঁইয়া আজ নিজ কার্যালয়ে যাননি। তবে হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচরীদের উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ ৩৫ জন শিক্ষক ৩৭টি প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগপত্র রেজিস্টারের কাছে জমা দিলে সেদিনই উপাচার্য দুই মাসের ছুটিতে যান। ছুটি শেষ করে সোমবার উপাচার্য স্বপদে ফিরলে পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা তাঁকে তালা দিয়ে অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন। আজ তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।