মরছে মাছ, মরছে পরিবেশ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/27/photo-1435423810.jpg)
চট্টগ্রামে ট্রেন দুর্ঘটনার নবম দিনেও বোয়ালখালী খাল থেকে তেলের ওয়াগন ওঠানো সম্ভব হয়নি। ৭৯ হাজার লিটার ফার্নেস তেল কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে পরিবেশ বিপর্যয় তৈরি হয়েছে।
তেলের দূষণে বোয়ালখালী খালের সঙ্গে সংযোগ থাকা আশপাশের জলাশয়ের মাছসহ জলজ প্রাণী মরে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, তেল সরাতে দেশীয় প্রযুক্তি কোনো কাজে আসছে না।
urgentPhoto
এদিকে ইঞ্জিনসহ ওয়াগন উদ্ধারের প্রতীক্ষায় দিন গুনছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ফুরিয়ে আসছে দোহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেল সরবরাহ।
মৎস্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জোয়ার ভাটার কারণে ভারী এ ফার্নেস অয়েল বোয়ালখালী খাল হয়ে কর্ণফুলী ও প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর ১৫ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। ক্ষতিকর এই তেলে আশপাশের পুকুর, ডোবা, খাল, বিলের মাছসহ জলজ প্রাণীর দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে।
মৎস্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, এখন যে নতুন মাত্রাটা যোগ হয়েছে বোয়ালখালীর খাল-নদীর পর ওই তেল কর্ণফুলী হয়ে হালদা নদীতে ঢুকছে। হালদায় এই বিষাক্ত ফার্নেস ওয়েল মৎস্য প্রজননে নতুন সংকট তৈরি করছে।
গত ১৯ জুন শুক্রবার বোয়ালখালী খাল সেতু পার হওয়ার সময় সেটি ভেঙে পড়ে যায় রেল ইঞ্জিন ও তিনটি তেলের ট্যাংকার। এসব ওয়াগনে প্রায় ৭৯ হাজার লিটার তেল ছিল।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেছেন, তেলের ওয়াগন উত্তোলনের অভিজ্ঞতা না থাকায় তেল বের হওয়া রোধ করা যাচ্ছে না। তবে দোহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেল সরবরাহ করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
মেজবাহ উদ্দিন আরো জানান, বোয়ালখালী খাল সংরক্ষণ কাজে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের স্থাপন করা অয়েলবোমগুলো কাজে না আসায় তা উঠিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া ওয়াগনের ছিদ্র সরাতে আবারও কাজ শুরু করেছে রেলওয়ের ডুবুরিরা।