‘গোপন বৈঠক’, ১৩ নারী আটক
সহিংসতা ও নাশকতা চালানোর লক্ষ্যে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মাদ্রাসাপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এর মধ্যে ১৩ জন নারী ও পাঁচজন পুরুষ।
পুলিশের দাবি, আটক সবাই জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। তাঁদের কাছ থেকে চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। আটক নারীদের মধ্যে দুজন জামায়াতের রুকন রয়েছেন। আর পুরুষ পাঁচজন জামায়াতের সক্রিয় কর্মী।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ শেখ জানান, একদল নারী শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মাদ্রাসাপাড়ার জামায়াত নেতা ফজলুল হকের বাড়িতে গোপন বৈঠক করছে বলে খবর পাওয়া যায়। উপপরিদর্শক সেলিম রেজাসহ কয়েকজন নারী পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের সময় আরো কয়েক নারীকর্মী পালিয়ে যান।
ওসি এমদাদ শেখ আরো জানান, আটক নারীকর্মীরা হলেন শহরের মাদ্রাসাপাড়ার ফজলুল হকের স্ত্রী জামায়াতের রুকন তাহেরা খাতুন, কালীগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রামের আরশাদ আলীর স্ত্রী রুকন জোবেদা খাতুন, সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শহিদুলের স্ত্রী ফজিলা খাতুন, মাদ্রাসাপাড়ার ইলিয়াস আলীর স্ত্রী সেলিনা খাতুন, রমজান আলীর স্ত্রী রেশমা খাতুন, বাবুর স্ত্রী সানজিদা খাতুন, আবদুল জলিলের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, টুটুলের স্ত্রী রেহেনা বেগম, মোকছেদ আলীর স্ত্রী হাসিয়া খাতুন, আলাউদ্দিনের স্ত্রী সালমা বেগম ও আবদুল মতিনের স্ত্রী শাহিদা খাতুন, সুরত আলীর স্ত্রী শাহানারা খাতুন ও আবু বকর সিদ্দিকীর স্ত্রী আলেয়া খাতুন।
আটক পুরুষকর্মীরা হলেন বাবলু গাজী, লুৎফর রহমান, কোয়াশ উদ্দিন, বজলুর রহমান ও মুফতি আখতারুজ্জামান। তাঁদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও সহিংসতার একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি। এ সময় আটক কর্মীদের কাছ থেকে সাংগঠনিক তৎপরতার কাগজপত্রও উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।