আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারককে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ বলায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আবারো আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আজ সোমবার তিনজন মুক্তিযোদ্ধা ও গণজাগরণ মঞ্চের একাংশ তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর এ অভিযোগ দাখিল করেন।

আগামীকাল মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার।

আদালত অবমাননার অভিযোগকারীরা হলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, মুক্তিযোদ্ধা আলী আসগর ও শেখ নজরুল ইসলাম এবং গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী ও কর্মী এফ এম শাহীন। তাঁদের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ আজ দুপুরে এ অভিযোগ দাখিল করেন।

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহিদুল আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আদালত অবমাননার অভিযোগে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি আগামীকাল ট্রাইব্যুনাল-২-এ শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।’

আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যে উক্তিটি করেছেন, তা আদালত অবমাননার শামিল। এ ধরনের উক্তি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিচারক সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে। তাই ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।’

এর আগে গত ১০ জুন আদালত অবমাননার অভিযোগে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ‘এজলাসে দাঁড়িয়ে থাকা’ এক ঘণ্টার দণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল-২।

ব্রিটিশ নাগরিক ও সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে ট্রাইব্যুনালের সাজার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এ সাজা দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর কাঠগড়ায় উঠতে অস্বীকৃতি জানিয়ে দীর্ঘ এক ঘণ্টা ২৫ মিনিট ধরে এজলাসে বাকবিতণ্ডা, ট্রাইব্যুনাল ও বিচারপতিদের সম্পর্কে বিভিন্ন উক্তি করেন তিনি। ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে তিনি তিনজন বিচারককে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ বলে উল্লেখ করেন।