সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে রাখাল আহত!
সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতনে রামচন্দ্র দাস নামের বাংলাদেশি এক রাখাল আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার কলারোয়া উপজেলার চান্দুরিয়া সীমান্তের ওপারে গেলে বিএসএফ সদস্যরা রামচন্দ্রকে মারধর করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, রামচন্দ্রকে তাঁর সঙ্গীরা নদী থেকে তুলে এনে সীমান্তের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করান। একটু সুস্থ হওয়ার পরই ক্লিনিক থেকে চলে যান রামচন্দ্র।
এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাঁকে খুঁজছেন বলে জানিয়েছেন।
কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রমজান আলী আহত রামচন্দ্র দাসের বরাত দিয়ে জানান, ভারতের কালাঞ্চিতে বিএসএফ সদস্যরা আজ ভোরে কয়েকটি ভারতীয় গরুসহ রামচন্দ্রকে ধরে ফেলেন। বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে বেদম মারপিট করেন। এরপর তাঁকে ইছামতি নদীতে ফেলে দেন।
রমজান আলী আরো জানান, রামচন্দ্রের দুই সঙ্গী মো. সিরাজুল ইসলাম ও খলিলুর রহমান তাঁকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, সকালেই রামচন্দ্রকে চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আনা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মানবিক কারণে গয়ড়া বাজারে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, আহত রামচন্দ্র ও অপর দুজনের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার আমলা গ্রামের পালপাড়া এলাকায়। বিজিবি সদস্যরা তাঁদের আটক করতে পারে এই ভয়ে তাঁরা পালিয়ে গেছে বলে তারা জানায়।
এ ব্যাপারে বিজিবির চান্দুরিয়া বিওপির নায়েক সুবেদার আহমদ আলী বলেন, ‘খবরটি আমিও শুনেছি। এরপর থেকে তাঁদের খুঁজছি। কিন্তু তাঁরা এই উপজেলার বাসিন্দা না হওয়ায় তাঁদের এখনো আটক করা যায়নি।’ তিনি বলেন, ভারতে অবৈধভাবে গরু আনতে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যারা এই নির্দেশ অমান্য করেছে তাঁদের আটক করা হবে।