ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নয়
আদালত অবমাননার অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। আজ রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আগামী ২২ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে ডা. জাফরুল্লাহকে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৬ জুলাই ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন তিন মুক্তিযোদ্ধা ও গণজাগরণ মঞ্চের দুই সংগঠক। আদালত অবমাননার দায়ে তাঁকে দণ্ড দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল-২-এর তিন বিচারপতিকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলাসহ আরো কিছু অভিযোগ এনে মন্তব্য করেন ডা. জাফরুল্লাহ।
আদালত অবমাননার অভিযোগকারীরা হলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, মুক্তিযোদ্ধা আলী আসগর ও শেখ নজরুল ইসলাম এবং গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী ও কর্মী এফ এম শাহীন।
এর আগে গত ১০ জুন আদালত অবমাননার দায়ে ডা. জাফরুল্লাহকে এজলাস কক্ষে আসামির কাঠগড়ায় এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-২। ব্রিটিশ নাগরিক ও সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে ট্রাইব্যুনালের সাজার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এ সাজা দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর কাঠগড়ায় উঠতে অস্বীকৃতি জানিয়ে দীর্ঘ এক ঘণ্টা ২৫ মিনিট এজলাসে বাকবিতণ্ডা, ট্রাইব্যুনাল ও বিচারপতিদের সম্পর্কে বিভিন্ন উক্তি করেন তিনি।