ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়বো আমরা, বাঁচবে তাজুল
তাজুল ইসলাম স্বাজন, অসম্ভব মেধাবী এক ছেলে। ভালোবাসতো গণিত নিয়ে থাকতে, ভালোবাসত বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবে সে। সে স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল এক ধাপ এক ধাপ করে। ২০১১ সালে নরসিংদীর পি এইচ এস এ এফ হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে এসএসসি পাস করে তাজুল। ভর্তি হয় নটর ডেম কলেজে। সেখানেও এইচএসসিতে গোল্ডেন। চান্স পেল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট), স্বপ্নের সাবজেক্ট কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে।
তারপর চলছিল সব ভালোমতোই। পুরোদমে পড়ালেখার পাশাপাশি অংশ নিত বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায়। ভার্সিটির ১৩ ব্যাচের মেইন টিমের তুখোড় প্রোগ্রামার সে। প্রোগ্রামিং করতে করতে সে স্বপ্ন দেখত একদিন গুগলে চাকরি করবে। তাঁর এই স্বপ্নগুলো একার না। স্বপ্নগুলো তাঁর পরিবারেরও। তাঁর বন্ধুদেরও। কারণ সে যে সবার চেয়ে আলাদা। শান্তশিষ্ট ছেলেটির সরব উপস্থিতি বন্ধুমহলে। তাজুল ভালোবাসে মুভি আর সিরিজ দেখতে। নিজের মতো কাউকে পেলে আড্ডা জমিয়ে ফেলতে বেশ পটু সে। মোট কথা, প্রাণচঞ্চল, মেধাবী, সৃজনশীল ছেলেটি যেন সবার চোখের মণি।
সেই সম্ভাবনাময় ছেলেটি আজ শুয়ে আছে পিজি হাসপাতালের হেমাটোলোজি ওয়ার্ডের বিছানায়। তাঁর বয়সী আর দশটা ছেলের মতো এবার ঈদ নিয়ে তাঁর মধ্যে কোনো উত্তেজনা নেই। বন্ধুদের সাথে বের হওয়া হবে না এবার। এমনকি সে জানেও না এটা তাঁর জীবনের শেষ ঈদ নাকি! ছোট এই দেহখানা যে যুদ্ধ করছে প্রাণঘাতী ক্যান্সারের সাথে। সবকিছু চলছিল বেশ। হঠাৎ একদিন পেটে ব্যথা আর ফুলে উঠল গ্লান্ড। ডক্টর ব্লাড টেস্ট করতে বলল। ৭ জুলাই জানা গেলো তাজুল দুরোরোগ্য লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত। আছে সেকেন্ড স্টেজে। ক্যান্সারের ভয়াল থাবা থেকে বাঁচতে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ভর্তি হতে হবে ভারতে ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল অ্যান্ড কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু উন্নত চিকিৎসা খরচের জন্য প্রয়োজন পঞ্চাশ লাখ টাকা। তাজুলের বাবা নারায়ণগঞ্জে জনতা ব্যাংকে চাকরি করেন। মা চাকরি করেন আড়াইহাজার থানায় পরিবার পরিকল্পনা সংস্থায়। তাঁর মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এই বিশাল অঙ্কের টাকা জোগাড় করা একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু অসম্ভব কি আমাদের জন্যও? অবশ্যই না।
ইতিমধ্যে তাজুলকে বাঁচাতে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে নেমেছে তাঁর বন্ধুরা। বিশাল অঙ্কের এই টাকা জোগাড় করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। কিন্তু সর্বস্তর থেকে সাহায্য না আসলে এই টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে যাবে। তাই এই যুদ্ধে এবার আমাদের সবার নামতে হবে। আমাদের ভালোবাসাই পারে এই মেধাবী তরুণকে বাঁচাতে।
ষোল কোটি মানুষের এই দেশের গণ্ডিটি তো ছোট নয়। আমাদের যার যা সামর্থ্য আছে, তা দিয়ে চেষ্টা করলে এই টাকা জোগাড় করা কোনো ব্যাপার না। প্রতিদিন কত জায়গায় কত টাকাই না খরচ করে ফেলি, এবার না হয় আমার টাকায় একটি প্রাণ বেঁচে যাক? আমরা জানি আমরা পারব। মরণব্যাধি এই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে জয় আমাদের করতেই হবে। আমরা জিতবো। বাঁচবে তাজুল। বাঁচবে তাজুলের স্বপ্নগুলো।
এই আবেদনটি যাদের কাছে পৌঁছাবে, আশা করব তারা কেউ ফিরিয়ে দিবেন না। আপনার ভালোবাসাই বাঁচাতে পারে একটি অমূল্য জীবন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা :
ডিবিবিএল অ্যাকাউন্ট- তাজুল ইসলাম, ১০৫-১০৫-৩১৯৩৩, মতিঝিল শাখা
জনতা ব্যাংক - আহসান ভুঁইয়া, ৮৪৫১-৭, জনতা ব্যাংক, নবীগঞ্জ শাখা, নারায়ণগঞ্জ
বিকাশ অ্যাকাউন্ট – ০১৯৬০৯৯৫০৮২, ০১৭৪৩৫০৭৪৯৪, ০১৭৭৫০৮৯২৯৮, ০১৭৩৫৫০৭৯০২, ০১৮৫৫৩৩৩৫৩৩, ০১৭৩১২৪০৪০৮, ০১৭৩৬১৯৯১১১, ০১৯৩৬১০৮৮৯৯
ডিবিবিএল মোবাইল অ্যাকাউন্ট – ০১৯৩৮৮০০০১৯৮, ০১৭৩৫৫০৭৯০২৯, ০১৭৫৫৪৮০৬২৮০, ০১৭৯১০০৫২৯৬৮, ০১৯৬২৮৬০০৪০৩, ০১৭৯১০০৫২৯৬৮