পাটুরিয়ায় চার কিলোমিটার গাড়ির সারি
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের বহনকারী গাড়ির ব্যাপক চাপ পড়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে। পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটের আশপাশে চার কিলোমিটারজুড়ে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষমাণ আছে যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন। এগুলো ধীরে ধীরে ফেরিতে উঠছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ফেরি পারের জন্য ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের বাড়তি চাপ পড়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যানবাহনের এই দীর্ঘ সারি ক্রমেই বেড়ে পাটুরিয়া টার্মিনাল ছাড়িয়ে ফেরিসংযোগ সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে এসব যানবাহন ফেরি পার হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিক।
আর লঞ্চঘাটে উপচেপড়া ভিড় হয়েছে যাত্রীদের। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজছে এসব যাত্রী।
আজ সকালে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাট থেকে আরসিএল মোড় ছাড়িয়ে এক কিলোমিটার সড়কে দীর্ঘ সারিতে যানবাহন অপেক্ষায় রয়েছে। আরসিএল মোড় থেকে বাইপাস সড়কে ছোট যানবাহন ৫ নম্বর ফেরি ঘাটে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর মূল সড়কে অস্থায়ী ডিভাইডার দিয়ে ফেরি পারের যানবাহন ও পৃথক লেনে লঞ্চ পারের যাত্রীবাহী যানবাহন পাটুরিয়া ঘাটে প্রবেশ করছে।
সকালে পাটুরিয়ায় লঞ্চের টিকেট কাউন্টার সুপারভাইজার জুয়েল রানা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ শুরু হলেও প্রায় ২৮-২৯টি লঞ্চ দিয়ে এসব যাত্রী পার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাউদ্দিন জানান, এ নৌপথে ১০টি রো রো, পাঁচটি ইউটিলিটি (মাঝারি) ও তিনটি কে-টাইপ (ছোট) ফেরি যানবাহন পারাপার করছে। বৃহস্পতিবার সারাদিন ঘাটে যানবাহন স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। মধ্যরাত থেকে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়ে গেছে। ঘাটে যে সব যানবাহন আসছে, সেগুলোকে দ্রুত ফেরি পারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পাটুরিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক গোলাম মোর্শেদ খাইরুল্লাহ জানান, সকালের দিকে পাটুরিয়া ঘাটের পাশে প্রায় এক কিলোমিটার ফেরি পারাপারে যানবাহনের সারি হয়েছে। কিছু কাটা গাড়ি (লঞ্চ যাত্রীবাহী) পাটুরিয়া থেকে ফেরার পথে অলি-গলি দিয়ে যাওয়ার সময় যানজট সৃষ্টি করছে। পুলিশ তা দ্রুত নিরসন করে ঘাটের সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।