মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭, তদন্ত কমিটি গঠন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/19/photo-1437315818.jpg)
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের মূলিবাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন।
আজ রোববার ভোর ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সংযোগ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।urgentPhoto
ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার পাশাকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন আজাদ পরিবহনের চালক মিনহাজ প্রধান (৪০), গাইবান্ধার সবুজ (২৫), লিটন আহমদ (৩০), রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার তাহেরা বেগম (৩৫), দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মোনমতাপুর গ্রামের বাবু রায় (২৫), চিরিরবন্দর উপজেলার পুনাট গ্রামের বিপ্লব রায় (১৮), রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার আনোয়ারুল ইসলাম (১৯), গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার মিলন মিয়া (২০) ও বগুড়ার জিল্লুর রহমান। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে জেলা প্রশাসন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল, আভিসিনা ক্লিনিক, মেডিনোভা ক্লিনিক, মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর আহত অন্তত ১০ জনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম থেকে সাব্বির হোসেন পরিবহনের একটি বাস বগুড়ার দিকে যাচ্ছিল। আর সৈয়দপুর থেকে আজাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকায় যাচ্ছিল। বাস দুটি মূলিবাড়িতে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই উভয় বাসের চালকসহ ১২ জন নিহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরো পাঁচজন।
ওসি আরো বলেন, ঘটনার পর সেতু বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বিল্লাল হোসেন, পুলিশ সুপার (এসপি) মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ ও সেতু বিভাগের ট্রাফিক ম্যানেজার লেফটেন্যান্ট কমোডর মুজাহিদ উদ্দিন ঘটনাস্থল ও সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফরিদুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ১৫টি লাশ আছে। চিকিৎসাধীন আছে ১০ জন।
জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন জানান, নিহত ব্যক্তিদের লাশ পরিবহনের জন্য জনপ্রতি ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। আহত ব্যক্তিরা যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায়, সে বিষয়টি তদারক করা হচ্ছে।