যাদের জন্য বন্দর খোলা তাঁরাই ‘ছুটিতে’
ঈদুল আজহা এবং বন্যার কারণে দেশে চাল, পেঁয়াজ, মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজণীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ শুক্রবার ছুটির দিনেও খোলা রয়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম।
ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বন্দরের শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ। তবে যে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে অফিস খোলা রাখা হয়েছে তাঁরাই আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন ঈদ উপলক্ষে।
হিলি শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মো. মশিয়ার রহমান মণ্ডল জানান, ঈদে সরকারি ছুটির মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার স্বার্থে শুল্ক স্টেশনে ছুটি বাতিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ কারণে আজ সরকারি ছুটির দিনেরও হিলি শুল্ক স্টেশনের সংশ্লিষ্ট সবাইকে কর্মস্থলে অবস্থান করে চাল, পেঁয়াজসহ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে আগামীকাল শনিবার ঈদের দিন শুধু স্থলবন্দর বন্ধ থাকবে। এরপর রোববার থেকে আবারো স্বাভাবিক কাজে ফিরে যাবে হিলি স্থলবন্দর।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব হোসেন জানান, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সরকারি ছুটির আওতায় পড়েনি। তাই দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে বন্দরের বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন জানান, ২ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বন্দর সচল রাখলেও ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘কারণ, বন্ধের বিষয়টি আগেই ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। বন্ধের মধ্যে পোর্ট চালু রাখার ব্যাপারটি শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় শুরু করা হবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম’, যোগ করেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নেতা।
আজ সকালে দেখা গেছে, বেসরকারি পানামা পোর্টের ভেতরে ১৭৯টি মালামাল বোঝাই গাড়ি রয়েছে। সেখানে ৮০টি ট্রাক রয়েছে চালবোঝাই। সেগুলো থেকে চাল খালাস কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া আজ ভারত থেকে কোনো ট্রাক বাংলাদেশে আসবে না বলেও জানিয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার পরেও বন্দর খোলা থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার মো. মশিয়ার রহমান মণ্ডল জানান, এনবিআরের নির্দেশে তাঁরা বন্দর খোলা রেখেছেন। ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি না করলেও তাঁদের এখন আর কিছু করার নেই।