জাফরুল্লাহর আপিলের শুনানি কাল
আদালত অবমাননার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের জরিমানার আদেশের বিরুদ্ধে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দায়ের করা আপিলের শুনানির আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে জাফরুল্লাহর পক্ষে সময়ের আবেদন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
সাজার বিষয়ে বিবৃতি দেওয়ায় গত ১০ জুন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল-২ জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এক ঘণ্টার জন্য কারাদণ্ডাদেশ এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ওই দিন আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, এই এক ঘণ্টা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাটাতে হবে।
বাংলাদেশে বসবাসরত ব্রিটিশ নাগরিক ও সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে ট্রাইব্যুনালের জরিমানার রায়ের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এই সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওই দিন দুপুর ১২টা ৪৯ মিনিট থেকে ১টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত জাফরুল্লাহ চৌধুরী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থেকে এই দণ্ড খাটেন। পরে তিনি ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাকে সাজা দিয়ে ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি মানসিক অসুস্থতার পরিচয় দিয়েছেন। বিচারপতিরা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। যেখানে বিচারপতিরা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না, সেখানে ন্যায়বিচার সম্ভব নয়।'
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, 'আমি বিচারপতিদের বলেছি- আপনাদের এই আদেশ স্থগিত রাখেন যেন উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারি। তাঁরা সেই সুযোগ না দিয়ে দ্রুত আদালত ত্যাগ করেছেন। এখন বিষয়টা আপনারা বিবেচনা করেন।' তিনি বলেন, 'আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কোনো বিষয়ে মন্তব্য বা সমালোচনা করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আমার মন্তব্য বা সমালোচনা বিচারপতিরা সহ্য করতে পারেননি। রায়ের বেশির ভাগ অংশই ছিল রাগ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।'
এর আগে বার্গম্যানের সাজার বিষয়ে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি যুক্ত বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।