ঝিনাইদহে নিহত ‘জঙ্গি’ আবদুল্লাহর স্ত্রী রুবিনা কারাগারে
ঝিনাইদহের মহেশপুরে নিহত ‘জঙ্গি’ আবদুল্লাহর স্ত্রী রুবিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের মহিষাকুন্ডু গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। রুবিনা নব্য জেএমবির সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রুবিনাকে ঝিনাইদহের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজবাহার আলী শেখ জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের মহিষাকুন্ডু গ্রামের এলাহী বক্সের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুবিনাকে আটক করা হয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, রুবিনা নব্য জেএমবির সদস্য। স্বামী আব্দুল্লাহ নিহত হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। নব্য জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন রুবিনা। তাঁর দেওয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
ওসি আরো জানান, রুবিনার কোলে ২৪ দিন বয়সের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। এতদিন সন্তান গর্ভে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। নিহত ‘জঙ্গি’ আবদুল্লাহর তৃতীয় স্ত্রী রুবিনার বাবা আবদুল লতিফও ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।
চলতি বছরের ২১ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পুড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনে পাড়ার একটি ‘জঙ্গি আস্তানা’র সন্ধান পায় আইনশৃংখলা বাহিনী। ওই বাড়িটি ছিল নব্য জেএমবির নওমুসলিম আবদুল্লাহর। পরের দিন ২২ এপ্রিল ওই বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বোমা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২৩ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর থানায় ‘জঙ্গি’ আবদুল্লাহ ও তার স্ত্রী রুবিনাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়। ঝিনাইদহ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোকুল চন্দ্র বাদি হয়ে মামলাটি করেন। ৫ মে জেলার মহেশপুরের বজরাপুর গ্রামের হঠাৎ পাড়ায় একটি ‘জঙ্গি’ আস্তানায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও জেলা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে নিহত হন তুহিন ও নওমুসলিম আবদুল্লাহ। এ ঘটনার পর থেকেই রুবিনা আত্মগোপনে চলে যান।