কারাগারে আসামির অন্তর্বাসে ৪০ ভরি সোনা!
ছয়দিন আগে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে ধ্রুবত গাইন (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। থানায় একটি মামলাও হয় তাঁর বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে আছেন। আটক হওয়ার ছয়দিনের মাথায় ধ্রুবতের অন্তর্বাসে পাওয়া গেল ৪০ ভরি ওজনের চারটি সোনার বার!
আজ সোমবার সকালে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার দিকে বিষয়টি প্রকাশ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আটকের ছয়দিন পর্যন্ত কীভাবে সোনা লুকিয়ে ছিল ধ্রুবতের কাছে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে!
পুলিশ জানিয়েছে, ধ্রুবতের কাছ থেকে আটক হওয়া সোনার মূল্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা।
ধ্রুবত মাদারীপুরের রাজৈর থানার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার রাত ৭টার দিকে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার কারাগারে প্রবেশ করেন। এর সূত্র ধরে খবরটি জানাজানি হয়।
জেলা কারাগারের জেলার নিজাম উদ্দীন জানিয়েছেন, ঘটনার পর কারাগারের ভেতরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
নিজাম উদ্দীন বলেন, ‘গত ১৭ অক্টোবর ধ্রুবত গাইনকে কারাগারে আনা হয়। বিজিবি মহেশপুর বর্ডার থেকে তাঁকে আটক করে। তাঁর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নম্বর ৩৭। নিয়মমতো তাঁকে তল্লাশি করা হয়। এরপর গত কয়েক দিনে তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। সোমবার সকাল ৭টার দিকে কারা অভ্যন্তরের গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে ধ্রুবতের অন্তর্বাসে ভারী কিছু লুকানো আছে। এরপর তল্লাশি করা হলে তাঁর কাছে চারটি সোনার বার পাওয়া যায়। এর প্রতিটির ওজন ১০ ভরি করে। এসব সোনার মূল্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা।’
এক প্রশ্নের জবাবে জেলার নিজাম উদ্দীন বলেন, সুকৌশলে সোনার বারগুলো লুকিয়ে রাখে ওই আসামি। এ ধরনের ঘটনা কারা অভ্যন্তরে এই প্রথম বলে জানান তিনি।
পুলিশ ও কারাগারের বিশেষ একটি সূত্র জানায়, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ছয়দিন একজন আসামির কাছে এত সোনা কীভাবে লুকানো ছিল তা নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। স্বর্ণ ছাড়া অন্য কিছু কারাগারে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সূত্রটি।
জানা যায়, পুলিশ ওই আসামির কাছ থেকে আরো তথ্য জানার চেষ্টা করছে। সদর থানার পরিদর্শক উদ্ধার করা সোনার তালিকা তৈরি করছেন। কারাগারের জেলার বাদী হয়ে সদর থানায় ওই আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।