অবস্থা দেখে লাইফ সাপোর্ট খোলা হবে শওকত আলীর
বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক শওকত আলীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে আজ সোমবার বিকেলে লাইফ সাপোর্ট খোলা হতে পারে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন চিকিৎসক সমীরণ কুমার সাহা। গত বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় লেখককে রাজধানীর ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন থেকেই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার ভোর ৫টায় তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরির্চযা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়।
ডা. সমীরণ কুমার সাহা বলেন, ‘শওকত আলীর কিডনি, হার্ট ও ফুসফুসে সমস্যা আছে। রক্তে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেসব সমস্যার মাত্রা আরো বেড়েছে। অসুস্থতার মাঝে বেশ কয়েক দিন আগে স্ট্রোক করায় তাঁর মস্তিষ্কও যথাযথ কাজ করছে না। তাঁকে এখন পর্যন্ত লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আজ বিকেলে তাঁর শারীরিক অবস্থার সব দিক বিবেচনা করে লাইফ সাপোর্ট খোলা হতে পারে।’
শওকত আলীর বড় ছেলে আসিফ শওকত কল্লোল বলেন, ‘বাবার শারীরিক অবস্থা আগের মতই আছে। বয়স অনেক হয়েছে, তাই দেশের বাইরে কোথাও নেওয়ার কথা ভাবছি না। আল্লাহকে স্মরণ করা ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো উপায় নেই।’
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শওকত আলী ১৯৩৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার থানা শহর রায়গঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও পরে শিক্ষকতায় যোগ দেন তিনি। ছোটবেলা থেকে লেখালেখি শুরু করলেও তাঁর প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ‘নতুন সাহিত্য’ পত্রিকায়। এ ছাড়া দৈনিক মিল্লাত, সমকাল ও ইত্তেফাকে তাঁর বহু রচনা প্রকাশ হয়। ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’, ‘দক্ষিণায়নের দিন’, ‘উত্তরের খেপ’, ‘উন্মুল বাসনা’, ‘শুন হে লখিন্দর’ প্রভৃতি শওকত আলীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে একুশে পদকসহ বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, অজিত গুহ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা পান তিনি।